কেউ নায়ক, কেউ প্রতিনায়ক, কেউবা খলনায়ক
আছে দ্বন্দ্ব, আছে যুদ্ধ, আছে মৃত্যু…
নায়ক
নতুন বাস্তবতার নায়ক হয়ে এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, যাকে ছাত্র শিক্ষকরা গড়ে তুলেছেন “আট আগস্ট”–এর পরিপ্রেক্ষিতে, এবং যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। এই পার্টি সমর্থন পেয়েছে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সতর্ক সরকার থেকে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণ করার আগে শিক্ষার্থীদের গণঅন্দোলনে সাড়া দিয়েছিলেন।
প্রতিনায়ক
বিএনপি তীক্ষ্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যারা নির্বাচন বদ্ধকালের পূর্বেই ভোটের আগ্রহ ধরে রাখতে চায় এবং বলেন, নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে “গভীর অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে”।
খলনায়ক
রাজনৈতিক দাঙ্গাবাজি ও অতর্কিত প্রশাসনিক বাহিনী—এসবেই ধরা পড়ে সেই খলনায়কের ছায়া, যারা কখনোই আলোকচুম্বী নয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিক্ষোভ দমনে ১,৪০০–র বেশি প্রাণহানি নিয়ে জাতিসংঘের অনুসন্ধান প্রতিবেদন বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যথারীতি, ক্ষমতার টানে কেউ কেউ আজও সেই ছায়াময় কৌশল অবলম্বন করে, যা গণতন্ত্রের আলোকে দমিয়ে রাখতে চায়।
দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ: গণআন্দোলন ও ক্ষমতার লড়াই
- ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হয়, এবং মার্কিন দূতাবাস একটি ‘ডেমোনস্ট্রেশন এলার্ট’ জারি করে।
- “গাজা স্ট্রাইক”–এ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয় ঢাকাসহ সারাদেশে।
- নভেম্বর নির্বাচন ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি, বলছে এটি “ডিক্রি শূন্য ও অকার্যকর”।
মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি: নির্যাতন, শাস্তি ও বিচার
- গোপন কারাগার ও গুমের অভিযোগ এখনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীর নজরে।
- টিউলিপ সিদ্দিকসহ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
- এলএল–সমর্থক সমাবেশে পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভবিষ্যতের রথযাত্রা: নির্বাচন ও নতুন স্বপ্ন
- সতর্ক সরকার ২০২৬ সালের মার্চে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
- নির্বাচনের বিলম্ব নিয়ে নতুন প্রজন্মের অসন্তোষ সামনে এসেছে।
- জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে সরকারের কাজের গতি নিয়ে।
এই রাজনৈতিক ক্যানভাসে নায়ক, প্রতিনায়ক আর খলনায়কেরা প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে মুখোশ—কিন্তু জনগণের আশা আজও একই রকম: সত্য, ন্যায় আর ভোটাধিকার। তবে জনগণ কি নির্বাচনের ভসসা পাচ্ছে ?
Comments
Post a Comment